লেখকঃ সারোয়ার আলম
(আনাদলু এজেন্সির দক্ষিণ এশিয়া বিষায়ক গবেষক)
তুরস্ক ও বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী |
তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলেয়মান সোইলুর বাংলাদেশ সফর করার কথা। খবরটি প্রচার করছে বাংলাদেশী গণমাধ্যমগুলো। তুরস্কে এ নিয়ে কোন প্রচার নেই। কিন্তু কেন?
তুর্কি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই একদিনের ভ্রমণে বেশি হাইলাইট করা হচ্ছে তার রোহিঙ্গা ক্যাম্প সফর। কিন্তু এখানে মূল বিষয় হচ্ছে দীর্ঘ সময় ধরে বিলম্বিত একটা চুক্তি: "বেসামরিক নিরাপত্তা ও সন্ত্রাস দমনে দুই দেশ কাঠামোবদ্ধ ও পারস্পরিক সহযোগিতা নিশ্চিতে একটি সমঝোতা স্মারক!"
২০১৯ সালের ২৭শে নভেম্বর বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বড় একটা প্রতিনিধি দল নিয়ে তুরস্ক সফর করেন। তখন সুলেয়মান সোইলু এবং তুর্কি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের পদস্থ কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক হয় তাদের। সে বৈঠকে তুরস্কে অবস্থানরত অবৈধ বাংলাদেশীদের বিষয়টি উত্থাপন করা হয়। দু'দেশের মধ্যে এই বিষয়ে কোন চুক্তি না থাকায় তুরস্ক অবৈধ বাংলাদেশীদের খুব সহজে সনাক্ত এবং বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে পারে না। এক্ষেত্রে বাংলাদেশী কর্তৃপক্ষের অনীহার বিষয়টি বার বার সামনে আসে। শেষ পর্যন্ত তুরস্ক একটা চুক্তি সই করতে রাজি করায় বাংলাদেশকে। আসাদুজ্জামান খানের সেই সফরের কয়েকমাস পরে অর্থাৎ ২০২০ সালের মার্চ-এপ্রিলের দিকে সুলেয়মান সোইলুর ঢাকায় যাওয়ার কথা ছিল। আর সেই সফরেই এই চুক্তিটি সই হওয়ারও কথা ছিল। কিন্তু করোনা ভাইরাসের কারণে তার সেই সফরটি পিছিয়ে যায়।
একারণে তুর্কি মন্ত্রীর এই ভ্রমণে অনেক বিলম্বিত একটি সফর। আর এই সফরের গুরুত্বপূর্ণ দিকটি হবে ঐ সমঝোতা স্মারক সই। যেটা হলে তুরস্ক অবৈধ বাংলাদেশীদের গ্রেফতার করলেই তাদের বিষয়ে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় (পুলিশ) থেকে অতি দ্রুত তথ্য পাবে। আর এভাবে অবৈধ বাংলাদেশীদের সনাক্তকরণ এবং তাদের ফেরত পাঠানোর পথ সহজ হবে।
তুরস্কে কতজন অবৈধ বাংলাদেশী আছে সে বিষয়ে কোন নির্ভরযোগ্য তথ্য নেই। তবে ধারণা করা হয় এই সংখ্যাটি ২০ হাজার থেকে ৫০ হাজার পর্যন্ত হতে পারে।