MrJazsohanisharma

মসলার ইতিহাস ১ম পর্ব

লেখকঃ প্রিন্স মাহমুদ

উপনিবেশবাদ কীভাবে শুরু হলো, কী করে ইউরোপিয়ানরা ছড়িয়ে পড়ল সারা দুনিয়ায়-তা জানতে আমাদের চলে যেতে হবে পঞ্চদশ শতাব্দীর দুনিয়াতে। তখন স্থলে গান পাউডার আর জলে মসলার রাজত্ব।

মসলার ইতিহাস ১ম পর্ব
মসলা

আপনি আমি মাংসের সঙ্গে যে গরম মসলার স্বাদ পাই, সেই গরম মসলার দাম এক সময় স্বর্ণের চেয়ে বেশি ছিল। হ্যাঁ, ঠিক শুনেছেন। সোনার চেয়ে দামি ছিল লবঙ্গ, দারুচিনি, গোলমরিচ, জায়ফল, হলুদ, আদা আর এলাচি।

 মসলার ইতিহাস ২পর্ব 

গরম মসলা জন্মাতে প্রয়োজন হয় ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি তাপমাত্রা এবং ৮০%-এর কাছাকাছি আর্দ্রতা। এই তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা ইউরোপে কোনো দিনই ছিল না। ফলে ইউরোপের মানুষ মসলা কী, তা মোটামুটিভাবে জানতই না। তারা প্রথম মসলার ব্যবহার শেখে মাত্র তিন হাজার বছর আগে, লেবানিজদের কাছ থেকে। 

এই যে তারা মসলার প্রেমে পড়ল, আর কোনো দিন তারা এই প্রেম থেকে বেরোতে পারেনি।

মসলার কদর তাদের কাছে কতখানি ছিল তার একটা উদাহরণ হলো, ভিসিগথরা ৪১০খ্রিষ্টাব্দে যখন রোম অবরোধ করে, তখন তারা সোনা-রূপা চাওয়ার বদলে রোম অবরোধ তুলে নেওয়ার বিনিময়ে সম্রাটের কাছে তিন হাজার পাউন্ড গোলমরিচ চেয়েছিল।

রোমান সাম্রাজ্যের একচ্ছত্র ক্ষমতার একটা বড়ো উৎস ছিল এই মসলার বাণিজ্যপথের ওপর তাদের নিয়ন্ত্রণ। 

তখনকার দুনিয়ার সবচেয়ে বড়ো বাণিজ্য ছিল মসলা। তাই এই বাণিজ্য পথ যারা নিয়ন্ত্রণ করত, বিশ্ব অর্থনীতির একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ থাকত তাদেরই কবজায়। 

ভারতের কেরালা, মালাবার, ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা, আচেহ, বালি, জাভা, তিমুর, নিউগিনিতে ছিল মসলার খনি। এই অল্প কিছুজায়গা ছাড়া দুনিয়ার আর কোথাও তখন 

গরম মসলা চাষ হতো না। যখন এসব জায়গার লোকজন টের পেয়ে গেল যে মসলা বেশ দামি জিনিস, তখন তারা মসলা ফলানোর রেসিপিটা রাতারাতি গুম করে দিলো।

চলবে.......

Previous Post Next Post