ডলারের বিপরীতে কী অন্য কোনো মুদ্রা দাঁড় করানো সম্ভব?

লেখকঃ আবিদ হাসান

ডলারের বিপরীতে কী অন্য কোনো মুদ্রা দাঁড় করানো সম্ভব?
তালেবান সরকার
এখনি সময়!!

আফগানিস্তানে ডলারসহ বিদেশি সব মুদ্রার ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে ৬ মাস আগে দেশটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়া কট্টরপন্থি গোষ্ঠী তালেবান।
এই আদেশ জারি করা হয় ২০২১সালের নভেম্বরের ১১ তারিখে।

বর্তমানে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সময় আমেরিকার কূটনৈতিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়া বা রাশিয়ার বেহাল অবস্থা দেখে মনে হলো তালেবানের এই আদেশ নিয়ে কিছুটা বিশ্লেষণ করা উচিত। বিষয়টি আমার ক্ষুদ্র মস্তিষ্কে যতটা অনুধাবন করতে পেরেছি তার আলোকেই বিস্তারিত লিখতে বসলাম। 

যদি মুসলিম দেশগুলো একত্রিত হয়ে আফগানদের এই আইনকে সমর্থন করে সহায্যের হাত বাড়াই আর আফগানরা যদি সফল হয়। তাহলে বিশ্বের এতদিনের চাওয়া কিছুটা হলেও পুরণ হবে। যদিও এথানে অনেক সূক্ষ্ম বুদ্ধির প্রয়োজন হবে।
ডলারের বিপরীতে অন্য কোনো মুদ্রা দাঁড় করানো সম্ভব হলেও হতে পারে।
যেহেতু পুড়ে পুড়ে সোনা খাঁটি হয়। ৫০বছর একটানা পুড়ছে আফগানের তালেবানরা। ৫০ বছরে তারা অন্য যেকোনো দেশের কূটনৈতিকদের চেয়ে ভালোই দক্ষ হয়েছে....
আর যারা ভাবছেন ডলার না থাকলে কিভাবে তারা আন্তর্জাতিকভাবে বানিজ্য করে ডলারের বিপরীতে সোনা ব্যবহার এর সহজ সমাধান। আর সোনা প্রত্যেক দেশেই বৈধ।
আপনাদের মনে আছে কি না জানি না,
তবে মালয়েশিয়ার/তুরস্ক/ইরান/পাকিস্তান ও কাতার কয়েক মাস আগে মালয়েশিয়ায় বৈঠকে বসেছিলো বিষয় ছিলোঃ 

"যে কিভাবে ডলারের বিপরীতে আন্তর্জাতিক বাজার দখল করা যায়।"
যারা জানেন না তারা গুগল করে দেখে নিতে পারেন।
এখন তালেবানের এই সিদ্ধান্ত আমার কাছে মনে হচ্ছে, মালয়েশিয়ার/তুরস্ক/ইরান/পাকিস্তান/ও কাতারের চাওয়ার প্রতিফলন। 

আর আপনারা অনেকে জানেন যে, পাকিস্তান/কাতার/ও তুরস্কের সাথে তালেবান কতটা ঘনিষ্ঠ তা সবারই জানা। কিছুদিন আগে পাকিস্তানের আইএসআই এর প্রধান তারপরে কাতারের উচ্চ পর্যায়ের কাবুল ভ্রমণ ও তুরস্কের প্রতিনিধিদের সাথে বৈঠকের পরে তালেবানের এমন সিদ্ধান্তকে বলা যায় পাকিস্তান/মালয়েশিয়া/ইরান/তুরস্ক/ও কাতারের চাওয়ার একাংশ পরীক্ষামাত্র। তারা চাইছে তালেবানরা যদি এর মাধ্যমে সফল হয় তাহলে তারাও একে একে নতুন আন্তর্জাতিক মুদ্রা গঠনের সিন্ধান্ত নিতে পারবে। যা তালেবানদের আফগানিস্তানের মাধ্যমে বিশ্বের দরবারে পেশ করা হবে।
এখন সবার একটাই কাজ হবে, যে তালেবানরা এই গেইমে কতটা সফল হবে সেটা দেখা? এই সিদ্ধান্তের ফলে আফগানিস্তান হয়তো সাময়িক কিছু বছর ক্ষতির মুখে পড়বে। কিন্তু তারা যদি সফল হয় তাহলে সারা বিশ্ব নতুন দিগন্ত খুঁজে পাবে।
অনেকে ভাবছেন তারা ঘোর স্বপ্নের মাঝে রয়েছে
কিন্তু আবুল কালাম আজাদের সেই বিখ্যাত উক্তি সবাই জানেন তো, 

"স্বপ্ন সেটা নয় যেটা মানুষ ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে দেখে, স্বপ্ন সেটাই যেটা পূরণের প্রত্যাশা মানুষকে ঘুমাতে দেয় না।"

তালেবানরা ৪০ বছর ধরে স্বপ্ন পূরণ করার জন্য ঘুম বন্ধ করে দিয়েছে। এখন তাদের এই সিদ্ধান্ত সফল হলোও অবাক হওয়ার কিছুই নেই।
অবাক হবে শুধুমাত্র বাংলাদেশের তথাকথিত অন্ধ বুদ্ধিজীবী মহল আর বিবেকহীন সুশীল সমাজ।
যাই হোক যদিও সফল হওয়ার হার খুবই কম। তবুও সফল হওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাবে না।

তাই আগামীর পৃথিবী ঠিক কেমন হবে তা দেখতে হয়তো কিছুদিন অপেক্ষা হয়তো করতে হবে। কিন্তু বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতি বলছে হয়তো বেশীদিন দেরী করতে হবে না বিশ্ব নতুন কোনো মোড়ল পেতে।

দেখা যাক অপেক্ষার পালা কতটা দীর্ঘ হয়। 

Previous Post Next Post