MrJazsohanisharma

নেট শেয়ারিং এর A টু Z

লিখেছেনঃ পিয়াসি মন


নেট শেয়ারিং এর দুনিয়া
চিত্রঃ নেট শেয়ারিং

একটা পিসি/ল্যাপটপে ইন্টারনেট এক্সেস থাকলে কিভাবে আশে পাশের অন্য পিসি/ল্যাপটপে ওই পিসি/ল্যাপটপ থেকে ইন্টারনেট শেয়ার করা যায় সেইটা দেখব।

আমরা বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই মোবাইল ব্রডব্যান্ড বোঝার সুবিধার্থে USB Modem ব্যাবহার করি। ধরে নেই, আমাদের কাছে ২ টা ল্যাপটপ আর ১ টা মডেম আছে। এখন কিভাবে একটা ল্যাপটপ থেকে অন্য ল্যাপটপে নেটওয়ার্ক শেয়ার করব, আর সেই জন্য কি কি লাগবে সেইটা দেখব -

ল্যান ক্যাবলঃ

ল্যান ক্যাবল ২ ধরনের কানেকশান সাপোর্ট করেঃ

[১] স্ট্রেইট থ্রু

[২] ক্রস

কই রকম ডিভাইসের জন্য ক্রস আর ডিফারেন্ট ডিভাইসের জন্য স্ট্রেইট গ্রু। তবে ইদানীং কালের পিসি/ল্যাপটপ তাদের RJ45 পোর্ট অটো নেগোসিয়েশন করে থাকে, সেহেতু ক্যাবল যেই ধরনেরই হোক না কেন অসুবিধা হবে না। এখন ক্যাবল সাধারনত স্ট্রেইট · করেই কনফিগার করা থাকে।

আই.পি. সিরিজঃ

আমাদের একই সিরিজের ২ টা আইপি লাগবে। মনে করি, আমরা ১৯২.১৬৮.১.০ এই সিরিজের আইপি ব্যাবহার করব। তাহলে, ১৯২.১৬৮.১.১ থেকে ১৯২.১৬৮.১.২৫৪ এর মধ্যে (১-২৫৪) এর যে কোন দুইটা ইউজ করতে পারি।

এখানে, আমরা ১৯২.১৬৮.১.১ -এটা ব্যাবহার করব সার্ভার এর জন্য আর ১৯২.১৬৮.১.২ এটা ব্যাবহার করব "ক্লায়েন্ট" এর জন্য। 

লক্ষ্যনীয়, এখানে যে কোন আইপি ব্যাবহার করা যেতে পারে। তবে যেই দুইটা আইপি ব্যবহৃত হবে সেই দুইটা একই সিরিজের হইতে হবে।

সফটওয়্যারঃ

CCProxy v7.3 এই সফটওয়্যার টি আমাদের লাগবে। এখন কাজে হাত দেয় যাক যেই ল্যাপটপ মডেম দিয়ে ডাইরেক্ট ইন্টারনেট কানেক্ট হবে সেই ল্যাপটপ কে আমরা "সার্ভার" বানাবো, আর অন্যটিকে আমরা "ক্লায়েন্ট" বানাবো। সার্ভার এবং ক্লায়েন্ট কিভাবে কনফিগার করে নেট শেয়ার করা হয় সেইটা দেখব।


সার্ভার কনফিগারেশনঃ

স্টেপ ১ঃ দুইটি ল্যাপটপের RJ45 পোর্ট কে ল্যান ক্যাবল ইউজ করে কানেক্ট করব

স্টেপ ২ঃ এখন, Control Panel> Network and Sharing Center -> Ethernet ->

Properties> Internet Protocol Version 4 (TCP/IPv4 ) -> Properties

[ নোটঃ এখন, Network and Sharing Center ঢোকার পরে যদি "Ethernet" দেখা না যায়, তাহলে ল্যান ক্যাবল খুলে আবার লাগাব তাহলেই "Ethernet" চলে আসবে। ]

স্টেপ ৩ঃ আইপি কনফিগার করব এখানে 

IP address: 192.168.1.1

Subnet mask: 255.255.255.0 

Default gateway এবং DNS কনফিগার করা লাগবে না।

স্টেপ ৪ঃ CCProxy v7.3 ইন্সটল করে রান করাবো এবং Option -এ গিয়ে HTTP / RTSP পোর্ট 8080 করে দিব। এখন CCProxy মিনিমাইজ করে রেখে দিব। মিনিমাইজ করলে এইটা সিস্টেম ট্রে তে অবস্থান নিবে।

স্টেপ ৫ঃ এখন, মডেম দিয়ে যেভাবে ইন্টারনেট কানেক্ট করতে হয় সেভাবেই ইন্টারনেট কানেক্ট করব


ক্লায়েন্ট কনফিগারেশনঃ

স্টেপ ১ঃ Control Panel Network and Sharing Center -> Ethernet -> Properties->Internet Protocol Version 4(TCP/IPv4)-> Properties

[ নোটঃ এখন, Network and Sharing Center ঢোকার পরে যদি "Ethernet" দেখা না যায়, তাহলে ল্যান ক্যাবল খুলে আবার লাগাব তাহলেই "Ethernet" চলে আসবে ]

স্টেপ ২ঃ আইপি কনফিগার করব এখানে

IP address: 192.168.1.2

Subnet mask: 255.255.255.0

Default gateway: 192.168.1.1 DNS কনফিগার করা লাগবে না।

[ নোটঃ "সার্ভার <=> ক্লায়েন্ট" কানেকশান ঠিক আছে কিনা সেইটা টেস্ট করব এইভাবে Command Prompt রান করাতে cd\ লিখে এন্টার প্রেস করব এবং পযং লিখে এন্টার প্রেস করব এখন ping 192.168.1.1 লিখে এন্টার প্রেস করব TTL ভ্যালু ৬৪ অথবা ১২৮ আসবে। TTL ভ্যালু ৬৪/১২৮ আসলে বোঝাযাবে ক্লায়েন্ট থেকে সার্ভার পর্যন্ত কানেকশান ঠিক আছে, নতুবা লিখা আসবে Request timed out বা Destination host unreachable আর এটার মানে হচ্ছে কানেকশান ঠিক নাই। ঠিক একইভাবে সার্ভার থেকে Command Prompt খুলে ping 192.168.1.2 লিখে এন্টার প্রেস করব। TTL ভ্যালু ৬৪/১২৮ আসলে বোঝাযাবে সার্ভার থেকে ক্লায়েন্ট পর্যন্ত কানেকশান ঠিক আছে। ]

স্টেপ ৩ঃ এরপর Control Panel> Internet Options ->Connections > LAN settings > Proxy Server এ টিক দিব, এখন 192.168.1.1 খ Address এর যায়গায় এবং 8080 লিখব Port এর যায়গায়।

স্টেপ ৪ঃ আবার Control Panel> Internet Options>Connections > Settings > Proxy Server এ টিক দিব, এখন 192.168.1.1 খ Address এর যায়গায় এবং 8080 Port এর যায়গায়।

কাজ একদম শেষ আর কিছুই নাই, এবার ইন্টারনেট ব্রাউজিং শুরু (^_^) শুধুমাত্র ক্লায়েন্টের ক্ষেত্রে, খেয়াল রাখতে হবে কিছু কিছু সফটওয়্যার আছে যেগুলো ইন্টারনেট কমিউনিকেট করে যেমন IDM, Yahoo Messen ger এদের প্রক্সি সেটিংস চেঞ্জ করতে হবে।

[ উদাহরণ স্বরূপঃ IDM -> Options -> Proxy / Socks এখানে Use proxy তে টিক দিয়ে Proxy server address এর যায়গায় 192.168.1.1 এবং Port এর যায়গায় 8080 লিখে দিলেই হয়ে যাবে। তাহলে এক মডেম নিয়ে কাড়াকাড়ি করার আর দরকার হবে না। এখানে শুধু ২ টা কম্পিউটার কিভাবে কানেক্ট করতে হয় সেটা দেখানো হয়েছে। ৩ টা বা ততোধিক পিসি কানেক্ট করতে চাইলে একটা Switch/Router লাগবে। বাকী পদ্ধতি একইরকম। ]


পিসি <-> পিসি, নেটওয়ার্কিং করার বেশ কিছু পদ্ধতি আছে, তার মধ্যে এইটা একটা পদ্ধতি। এইটা দিয়ে ক্লায়েন্টের ব্রাউজিং কন্ট্রোল করা যায়, এমন কি কন্টেন্ট পর্যন্ত। স্পেশালী প্যারেন্টাল কন্ট্রোল করা যায় CCProxy ইউজ করে নেটওয়ার্ক শেয়ার করলে।

CCProxy v7.3 ডাউনলোড লিঙ্কঃ

http://www.mediafire.com/download/6f48vsimn bl55va/CCProxy +7.3.rar

এতক্ষন আমরা দেখলাম কিভাবে ক্যাবল ব্যাবহার করে নেট শেয়ার করা যায়, এবার আমরা দেখব কিভাবে Wifi জোন তৈরী করে সেখান থেকে ইন্টারনেট শেয়ার করা হয়


Wifi জোন নেট শেয়ারিংঃ

একটা Wifi এনেবল পিসি/ল্যাপটপ থেকে ইন্টারনেট কানেক্ট করে সেই পিসি/ল্যাপটপের Wifi ব্যবহার করে একাধিক পিসি/ল্যাপটপে/ডিভাইসে নেট শেয়ার করানো যায়। এখানে একটা বিষয় লক্ষ্যনীয় যেই পিসি থেকে ইন্টারনেট শেয়ার করা হবে সেই পিসি যেন ইন্টারনেট কানেকশানের জন্য তার Wifi ব্যবহার না করে।

[ উদাহরণঃ একটা Wifi এনেবল ল্যাপটপ তার USB Modem/RJ45 পোর্ট দিয়ে ইন্টারনেটে কানেক্টেড। আমাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে একটা Wifi জোন তৈরী করা এবং সেই জোন থেকে ইন্টারনেট শেয়ার করা। এইটা করার জন্য বেশ কিছু সফটওয়্যার পাওয়া যায়। ]

Connectify ডাউনলোড লিঙ্কঃ

http://www.mediafire.com/download/vjl53z150458ok8/Connectifyv7.2.1.29658.rar

mHotspot ডাউনলোড লিঙ্কঃ 

http://www.mhotspot.com/downloadm.html

<=> ম্যনুয়ালী করার একটা পদ্ধতি আছে টিউটোরিয়াল লিঙ্কঃ http://www.tomshardware.com/ faq/id-1879130/turn-wifi-hotspot.html


এগুলো দিয়ে ডরভর জোন তৈরী করা এবং ক্লায়েন্ট কন্ট্রোল সহ পাসওয়ার্ড/এনক্রিপ্ট ইউজ করে জোন সিকিউর করা যায়।

তবে আমার কাছে ব্যাক্তিগত ভাবে Connectify সফটওয়্যার টা অনেক ভাল লেগেছে। এটা দিয়ে Wifi সহ ল্যান পোর্ট পর্যন্ত কন্ট্রোল করা যায়। 

Previous Post Next Post