১৯৫২ সালের ১৮ই ফেব্রুয়ারি তুরস্ককে NATO সামরিক জোটের সদস্য করা হয়। এখন সামরিক দিক দিয়ে তুরস্ক ন্যাটোর দ্বিতীয় বৃহত্তম শক্তি।
এছাড়া তুরস্ক বিশ্বের বর্তমান ১১তম পরাশক্তির দেশ। তুরস্ক এখন নিজেরাই সমরাস্ত্র তৈরি করছে ও বিক্রি করছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে।
বর্তমানে তুরস্ককে ড্রোন মাস্টার বললেও ভুল হবে না। তুরস্কের ড্রোন যুদ্ধ ময়দানে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। এছাড়া তুরস্ক যুদ্ধ জাহাজ, মিসাইল, আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, গোয়েন্দা জাহাজ ও ৫ম প্রজন্মের যুদ্ধ বিমানও নিজেরা তৈরি করছে। যদিও ৫ম প্রজন্মের যুদ্ধ বিমান তৈরির প্রকল্প এখনো শেষ হয় নি। এছাড়া তুরস্ক ও যুক্তরাজ্য যৌথভাবে অ্যাটাক হেলিকপ্টার তৈরি করছে, সেই সাথে হেলিকপ্টার ইজ্ঞিন নিজেরা তৈরি করে বর্তমানে তারা বিমানের ইজ্ঞিন তৈরির প্রকল্প নিয়ে কাজ করছে।
এছাড়া তুরস্কে রয়েছে ইউরোপের সবচেয়ে বড় বিমানবন্দর ইস্তানবুল বিমান বন্দর।
বর্তমানে তুরস্কের সৈন্যরা আজারবাইজান, সিরিয়ার ইদলিব, কাতার, আফ্রিকার সোমালিয়া ও লিবিয়ায় সেনা ঘাটি রয়েছে এবং সেখান থেকে তারা বিভিন্ন মিশন পরিচালনা, উক্ত দেশের সেনা প্রশিক্ষণসহ নানা কর্মে লিপ্ত রয়েছে। কিছু দিন আগে তুরস্ক আফগানিস্তানের কাবুল বিমান বন্দর পরিচালনার দায়িত্বও পেয়েছে।
ধীরে ধীরে গাছ হয়ে তার ডালপালা মেলে পুরো বিশ্বকে ছায়া দিতে চলেছে তুরস্ক।