MrJazsohanisharma

আবার কোন ষড়যন্ত্রের ফাঁদে তুরস্ক?

চিত্রঃ তুরস্কের মানচিত্র

গত শুক্রবার তুরস্কের বিরোধী দলীয় নেতা সরকার বিরোধী আন্দোলন শুরুর ঘোষণা দেন। সে আন্দোলনের প্রথম দিন ধরেন গত সোমবারকে। তিনি বলেন সেই সোমবার থেকে সরকারের পক্ষে যে আমলারা কাজ করবে তাদেরকে নজরে রাখবেন। তিনি ক্ষমতায় আসলে তাদেরকে কোন ভাবে ছাড় দিবেন না। এটাকে আমলাদের বিরুদ্ধে সরাসরি হুমকি হিসেবে দেখছে সরকার।

এর পর মঙ্গলবার তুরস্কে নিযুক্ত ১০ টি পশ্চিমা দেশের রাষ্ট্রদূতরা আমেরিকার নেতৃত্বে একটা বিবৃতি পেশ করে। ওসমান কাভালা নামক এক ব্যবসায়ীর এরেস্টের বিরুদ্ধে যৌথ বিবৃতি দিয়ে সরকারকে হুমকি দেয় তারা।

৩। সরকার ওসমান কাভালাকে ২০১৩ সালের গেযি পার্ক আন্দোলন এবং ২০১৬ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পিছনে একজন গুরুত্বপূর্ণ সিভিল ব্যক্তি হিসেবে দেখছে। সরকার তাকে জর্জ সরোস-এর তুরস্কের গোপন প্রতিনিধি হিসেবে দেখছে। সরোসের ওপেন সোসাইটি ফাউন্ডেশনের তুরস্কের প্রধান এই কাভালা। এই ফাউন্ডেশনটি তুরস্কে অনেক তথাকথিত সংখ্যালঘু এবং LGTB সংগঠনকে প্রচুর পরিমাণ আর্থিক সহয়তা দিয়েছে।

এর প্রতিক্রিয়ায় এরদোয়ান এই সব রাষ্ট্রদূতদের বহিষ্কারের হুমকি দিয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার ফ্রান্স ভিত্তিক মানি লন্ডারিং পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা FATF তুরস্ককে "ধূসর" তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে।এতে দেশটিতে বিদেশী বিনিয়োগ আসা কমে যাবে বলে ধারণা করা হয়। যদিও তুরস্ক তার অর্থনীতির স্বর্ণযুগে অর্থাৎ ২০১০ থেকে ২০১৪ সালেও এই FATF এর "ধূসর" তালিকায় ছিল। কিন্তু এখনকার পরিস্থিতি অনেকটাই ভিন্ন। ডলারের বিপরীতে লিরার দরপতন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মানুষের নাভিশ্বাস।

এর মধ্যে তুরস্কের কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদের হার কমিয়ে ১৬% এ নিয়ে আসে। যা পশ্চিমাদের মোটেও পছন্দ হয়নি।

->> শেষ পর্যন্ত ফল যা হওয়ার তাই হয়েছে। ডলারের বিপরীতে লিরার দাম নতুন রেকর্ড গড়ে ১০ এর কাছাকাছি চলে এসেছে। ১ ডলার = ৯.৬০ লিরা।
Previous Post Next Post